ঢাকা   শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ৩ মাঘ ১৪৩১

ধূমপান ও দূষণের কারণে ব্রঙ্কাইটিস

Daily Inqilab ইনকিলাব

১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৩ এএম

বুকে কোনও সমস্যা হলে নিজেরাই নিজেদের অসুস্থতার চিকিৎসা করি। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগ জটিল আকার ধারণ করে।

ইদানীং ছোটখাটো ব্যাপারে চিকিৎসকের কাছে না যাওয়াটাও একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে শরীর খারাপ হলে প্রথমেই অনেকে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে পাড়ার ওষুধের দোকান থেকে পছন্দসই কয়েকটি ট্যাবলেট ও সিরাপ কিনে খেতে শুরু করেন। এভাবে ওষুধ খাওয়ার ফলে রোগ সারার পরিবর্তে রোগ আরও বেড়ে যায়। কারণ, রোগ সারাতে গেলে প্রথমে রোগ নির্ণয় এবং পরে সঠিক ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। সাধারণ মানুষের পক্ষে এ দুটো কাজ করা অসম্ভব ব্যাপার। ফলে যা হওয়ার তাই হয়। রোগীর কষ্ট ও ভোগান্তি দুটোই বেড়ে যায়।

তাই রোগ নিয়ে ছেলেখেলা না করাই উত্তম। শুধু ব্রঙ্কিয়াল সমস্যা নয়, কোনও রোগকেই কখনও অবহেলা করা উচিত নয়। কারুর ব্রঙ্কাইটিস হলে ইচ্ছেমতো ওষুধ খেয়ে রোগটাকে আরও জটিল না করাই ভালো। ব্রঙ্কাইটিস ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসে পরিণত হয়। ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস একটি জটিল রোগ যা শত চিকিৎসা করেও সারানো যায় না এটা আমরা অনেকেই জানি না। মনে রাখতে হবে ব্রঙ্কাইটিস নিউমোনিয়া থেকেও খারাপ অসুখ। দু-তিন সপ্তাহ ঠিকভাবে চিকিৎসা করলে নিউমোনিয়া সেরে যায়। কিন্তু ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসের জন্য জীবনভর ভুগতে হয়।

বর্তমানে দূষণের সাথে পাল্লা দিয়ে ধূমপায়ীর সংখ্যাও বাড়ছে। এ দূষণ ও ধূমপানের জন্য মানুষ আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। মূলত জীবাণু ও ভাইরাসের কারণে বুকের রোগ বা ব্রঙ্কিয়াল সমস্যা হয়। কিন্তু এখন দূষণ ও ধূমপান ব্রঙ্কাসে জীবাণু ও ভাইরাস সৃষ্টির মতো পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছে। আমরা প্রত্যেকেই জানি তামাকে এমন বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ থাকে সেগুলো শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। যেমনÑ টার, কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, নিকোটিন ও পলোনিয়াম ২১০ ইত্যাদি। তামাক পাতাকে পোকার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পলোনিয়াম ২১০ ব্যবহার করা হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন কী ভয়ঙ্কর বিষ ধূমপায়ীদের শরীরে প্রবেশ করে।

আমাদের ব্রঙ্কাসে সূক্ষè রোঁয়া বা সিলিয়া থাকে। এ সিলিয়া থাকার জন্যই আমাদের বুকের ভিতরে ধুলো, ময়লা জমতে পারে না। কিন্তু ধূমপান ও দূষণের জন্য সিলিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিলিয়া খসে পড়ে বা ছোট হয়ে যায়। ফলে ধুলো-ময়লা ঠিকভাবে পরিষ্কার হয় না। এ জমে থাকা ধুলো-ময়লা জীবাণু সৃষ্টির মতো পরিবেশ তৈরি করে। এছাড়া ধূমপানের ফলে অত্যন্ত বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ টার-ও ওখানে জমতে থাকে। দেখা দেয় বহুবিধ সমস্যা। এ টারের জন্য ব্রঙ্কিয়াল ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। মানবদেহের ব্রঙ্কাসের ভেতরে কতকগুলো গ্ল্যান্ড থাকে যাকে আমরা মিউকাস গ্ল্যান্ড বলি। ভাইরাস ও জীবাণু সংμমণের ফলে এ গ্ল্যান্ডগুলো আকারে বেড়ে যায়। তখন ওই গ্ল্যান্ড থেকে অনেক বেশি পরিমাণে মিউকাস ক্ষয়িত হয়। এ মিউকাস জীবাণুর পুষ্টিসাধন করে। ফলে খুব সহজেই জীবাণুগুলো বাড়তে পারে। এর ফলে প্রথমে হয় অ্যাকিউট ব্রঙ্কাইটিস, তারপরে ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস এবং হাঁপানির থেকেও বহুগুণ বাজে একটি রোগ হতে পারে। রোগটির নাম এমফাইসিমা। এ রোগটি সহজে ভালো হয় না। ব্রঙ্কাইটিসের জন্য রোগীর কাশি হয়। কাশতে কাশতে রোগীর ফুসফুসের বায়ু থলিগুলো বড় হয়ে যায়। এদিকে, থলির স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার দরুন জমা বায়ু বাইরে বেরোতে পারে না। এমফাইসিমা অত্যন্ত জটিল রোগ।

বংশগত কি না : বাবা বা মার ব্রঙ্কিয়াল সমস্যা থাকলেই যে ছেলে বা মেয়ের ব্রঙ্কিয়াল সমস্যা হবে তা নয়। কিন্তু কোনও পরিবারের গৃহকর্তা যদি স্ত্রী ও শিশু সন্তানের সামনে ধূমপান করেন তাহলে স্ত্রী ও শিশুসন্তান হল প্যাসিভ স্মোকার। এর ফলে ওই শিশুটির পরবর্তীকালে ব্রঙ্কিয়াল সমস্যা হতেই পারে বা হবেই। প্রথমদিকে প্যাসিভ স্মোকারের ছোটখাটো সমস্যা পরবর্তীকালে বড় আকার ধারণ করে। এখন যদি সে ছেলেটি বা মেয়েটির বাবার একই রোগ থাকে তাহলে অনেকেই ভেবে বসেন এটা বংশগত রোগ। আসলে এটা বংশগত নয়, এটা ধূমপানজনিত রোগ।

উপযুক্ত ঋতু : শীত এবং বর্ষকালে ব্রঙ্কিয়াল সমস্যা বাড়ে। তাই এ সময় প্রত্যেকের একটু সাবধানে থাকা উচিত। বিশেষ করে সাবধানে থাকবেন দুর্বল ব্যক্তিরা, যারা ঘন ঘন এ রোগে আক্রান্ত হন। তাদের অবশ্য সারা বছরই সাবধানে থাকা উচিত।

আগেই বলা হয়েছে, নানা কারণে এ সমস্যা বাড়ে তাই আগে যারা অসুস্থ হয়েছেন তাদের বিশেষভাবে সাবধানে থাকতে হবে। তাদের প্রথমেই ধূমপান ছাড়তে হবে। ধোঁয়া, ধুলো এড়িয়ে চলার জন্য মাস্ক পরুন। এ মাস্ক বাড়িতেই তোয়ালে কেটে তৈরি করা যায়। তোয়ালে কেটে তাতে ইলাস্টিক লাগিয়ে নিলেই হয়। অনেকটা সার্জনরা যেমন পরেন ঠিক সেরকম দেখতে। তবে ব্যবহার করার আগে মাস্কটি ভিজিয়ে, নিংড়ে নিয়ে পরতে হবে। এর ফলে ধুলো, ময়লা মাস্কে আটকে থাকবে। সরাসরি নাকে ঢুকতে পারবে না। যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে তাদের রাতে খুব কম খাওয়া উচিত। কারণ, পেটভরে খেলে শ্বাসকষ্ট আরও বাড়বে। তাই খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে একটু সংযমী হতেই হবে।

হাঁপানি ও টিবি : ব্রঙ্কিয়াল সমস্যা থাকলেই হাঁপানি হবে কিনা বলা মুশকিল। তবে এমফাইসিমা হতে পারে, শ্বাসকষ্ট থাকবে। তাই বারে বারে যারা সর্দি-কাশিতে আক্রাান্ত হন তাদের একটু সাবধানে থাকতেই হবে। ধোঁয়া, ধুলো এড়িয়ে ধূমপান অবশ্যই ছাড়তে হবে।

তবে একবার যাদের টিবি হয়েছে তাদের যদি বার বার ইনফেকশন হয় তাহলে আবার টিবি রিল্যাপস করতে পারে। তাই এসব মানুষদেরও সাবধানে থাকা উচিত। কারণ কাশির দমকে ক্যাপিলারি ছিঁড়ে দু-এক ফোঁটা রক্ত বেরোতে পারে।

ঠাণ্ডা ও গরম : অসুস্থ বা যাদের ঘন ঘন ন্যাজাল অ্যালার্জি বা ইনফেকশন হয় তাদের ঠাণ্ডা, গরমে সমস্যা হবে। কিন্তু যারা এয়ার কন্ডিশন গাড়িতে চেপে অফিস যান এবং আবার ওইভাবে ফিরে আসেন অর্থাৎ যাদের গরমে থাকতেই হয় না তাদের তেমন সমস্যা হবে না।

সমস্যা হয় সাধারণ মানুষের। তাই ঠা-া থেকে বাইরে বেরোবার বা ঢুকবার সময় একটু অপেক্ষা করে তবেই বেরোবেন বা ঢুকবেন। গায়ে ঘাম থাকলে বাইরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর এয়ার কন্ডিশন রুমে ঢুকতে হবে, তা না হলে ন্যাজল অ্যালার্জি বা ইনফেকশন হতে পারে।

গোসল : সুস্থ মানুষ যেভাবে জীবনযাপন করেন ঠিক সেভাবেই অসুস্থ বা দুর্বল ব্যক্তিদের চলাফেরা করা উচিত নয়। এসব রোগীকে সবসময় ঠা-া পানিকে এড়িয়ে চলা উচিত। তাদেরকে উষ্ণ পানিতে গোসল করে জামা পরে বাথরুম থেকে বেরোতে হবে। বারো মাস তাদের এভাবেই চলতে হবে।

প্রতিরোধ : ধুলো, ধোঁয়া এড়িয়ে চলতে হবে। যারা কলকারখানায় কাজ করেন তাদের কাজের সময় পানি ভেজানো মাস্ক পড়া উচিত। এর ফলে পুরোটা না হলেও ৯০ শতাংশ ধুলো আটকানো যাবে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সে অভ্যেস পরিত্যাগ করতে হবে। * যাদের অ্যালার্জি আছে প্রয়োজন হলে তারা অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। * অ্যাজমার রোগীদের বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবেÑ উত্তেজনা, ধোঁয়া, ধুলো এড়িয়ে চলতে হবে। * ঠা-া লাগানো চলবে না। * প্রচ- পরিশ্রম থেকে বিরত থাকতে হবে। * কেউ ধূমপান করলে সে ¯’ান পরিত্যাগ করতে হবে। * আমি নিজে যেহেতু আইসক্রিম খেতে ভালোবাসি তাই রোগীদের আমি আইসক্রিম খেতে বারণ করি না। একটু আধটু আইসক্রিম খেতে পারেন।

একটি টোটকা : প্রথমেই কফ সিরাপ খাবেন কেন? বুকে সর্দি জমে আছে, খুব কাশিও হ”েছ। এমন পরি¯ি’তিতে আইসক্রিম না খাওয়াই ভালো। এক্ষেত্রে আমার এ টোটকাটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন-

এককাপ গরম পানিতে, এক চামচ মধু, একটু লবণ ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে দিনকতক পান করলে সাথে সাথে ফল পাবেন। ঘন ঘন সর্দি-কাশি হবে না। এখন যদি বুকে কফ জমে থাকে তাহলে সে কফ শুকাবে না এবং খুব তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাবে।

তবে ব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিস থাকলে এ টোটকাটি খাওয়া চলবে না। এটি শুধু বড় নয় শিশুদেরও খাওয়াতে পারেন। কদিন ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন বাজারে চলতি দামি দামি কফ সিরাপের থেকে এটি কোনও অংশে খারাপ নয় বরং বহুগুণে ভালো।

আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক ও কলামিস্ট।


বিভাগ : স্বাস্থ্য


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

দেশে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু
চামড়ার সৌন্দর্যে দুধ
এইচএমপি ভাইরাসে আতঙ্ক নয়
কিডনির যত্ন নিন
বাড়ছে মুখের ক্যান্সার
আরও

আরও পড়ুন

কুড়িগ্রামের উলিপু‌রে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত‌্যু

কুড়িগ্রামের উলিপু‌রে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত‌্যু

মতলবে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

মতলবে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

চবি ছাত্রদলের প্রীতিভোজে হামলার অভিযোগে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

চবি ছাত্রদলের প্রীতিভোজে হামলার অভিযোগে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

ব্রাহ্মণপাড়ায় এইচএমপিভি সচেতনতায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রচারণা

ব্রাহ্মণপাড়ায় এইচএমপিভি সচেতনতায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রচারণা

জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ভালুকা উপজেলা

জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ভালুকা উপজেলা

গৌরনদীতে দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে শিশু খুনের  ঘটনায়  ২ নারীসহ গ্রেফতার  ৪

গৌরনদীতে দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে শিশু খুনের ঘটনায় ২ নারীসহ গ্রেফতার ৪

কম্বোডিয়ার পরিবর্তে অনৈতিক কাজে সউদী পাঠানোর প্রস্তাব পাসপোর্ট আটকে রেখে টাকা দাবি

কম্বোডিয়ার পরিবর্তে অনৈতিক কাজে সউদী পাঠানোর প্রস্তাব পাসপোর্ট আটকে রেখে টাকা দাবি

মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় আবু সাঈদকে নিয়ে প্রশ্ন

মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় আবু সাঈদকে নিয়ে প্রশ্ন

কুষ্টিয়ায় দুষ্কৃতকারীদের হুমকিতে গড়াই খননকাজ বন্ধ,থানায় অভিযোগ

কুষ্টিয়ায় দুষ্কৃতকারীদের হুমকিতে গড়াই খননকাজ বন্ধ,থানায় অভিযোগ

কাপ্তাই জাতীয়  বিদ্যুৎ শ্রমিক ইউনিয়ন সিবিএ কর্তৃক শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ

কাপ্তাই জাতীয়  বিদ্যুৎ শ্রমিক ইউনিয়ন সিবিএ কর্তৃক শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ

মুক্তা বাতাসে বাবরের জুমার নামাজ আদায়

মুক্তা বাতাসে বাবরের জুমার নামাজ আদায়

তারুণ্যের উৎসবে আনন্দের ঢেউ

তারুণ্যের উৎসবে আনন্দের ঢেউ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অবৈধ ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অবৈধ ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ

বিরলে ৫ দিন ব্যাপি চতুর্থ উপজেলা কাব ক্যাম্পুরীর শুভ উদ্বোধন

বিরলে ৫ দিন ব্যাপি চতুর্থ উপজেলা কাব ক্যাম্পুরীর শুভ উদ্বোধন

আটঘরিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট

আটঘরিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট

আ.লীগকে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর মত নিষিদ্ধ করতে হবে: রাশেদ খাঁন

আ.লীগকে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর মত নিষিদ্ধ করতে হবে: রাশেদ খাঁন

কুমিল্লা নগর আওয়ামী লীগ নেতা কবির শিকদার গ্রেফতার

কুমিল্লা নগর আওয়ামী লীগ নেতা কবির শিকদার গ্রেফতার

ঝিনাইদহে ১৬ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু

ঝিনাইদহে ১৬ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু

সরিষাবাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে নিহত ১ আহত ১০

সরিষাবাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে নিহত ১ আহত ১০

চকরিয়াতে পৃথক ঘটনায় ৩ জন নিহত, আহত ৫

চকরিয়াতে পৃথক ঘটনায় ৩ জন নিহত, আহত ৫